প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
আজ এক নতুন অনুভূতির স্বাদ পেলাম। এবার মেডিকেলে চান্স পাওয়া দাগন ভূঞার দুই প্রাথমিক শিক্ষকের তিন মেয়ে কে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দিতে গিয়েছিলাম।
তাদের সাফল্যের পটভূমি আর কীর্তিগাঁথা শুনলাম। কেউ বাবা হিসেবে সফল , তার সাফল্যে খুশী হলাম। কেউ শিক্ষক হিসেবে সফল , তার সাফল্যে মহত্ত্বতা অনুভব করলাম। কেউ আবার স্বামী হিসেবে সফল, তার সাফল্যে নতুন করে ভালোবাসা জাগলো। বাসায় ফিরে যেতে স্ত্রীর জন্য একটা রজনী গন্ধা নিলাম। কেউ আবার নেতা হিসেবে সফল, তার নেতৃত্বের আনুগত্য করলাম। মেয়েদের হাতে যখন সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছিলাম তখন তাদের খুশী আর অভিব্যক্তি দেখে ক্ষণিকের জন্য আনমনা হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের পিতার সাথী আমি,আর আমার সহকর্মীর সন্তান তারা, এই সন্তান হীন আমার হৃদয় উথলে উঠেছিলো সন্তান সম ওদের পরশ নিতে। শরীয়ার রেস্ট্রিকশনের কারণে মন নয় শুধু, চক্ষু কে নত করেছি।
হৃদয় উজাড় করে দোয়া করলাম সবার জন্য। কান্না এসেছিলো কয়েক বার, কাঁদিনি। কঠিন হৃদয়ের এই আমি আঁধারে কাঁদি। যাতে কেউ না দেখে শুধু একজন ছাড়া। কিন্তু তিনি কী আমার দিকে তাকান, আমার কান্না দেখতে? আমার বিশ্বাস তিনি দেখেন। এটা থেকে সেটা, সেটা থেকে ওটা ভাবতে ভাবতে আমি ও আমার একটা সাফল্য খুঁজে পেলাম, আসলে ভবঘুরে হিসেবে আমি ও তো সফল। এ জীবন শুধু ঘুরলাম আর ঘুরলাম দেশের আনাচে কানাচে আর প্রবাসে ও। হাটে, বাজারে, বন্দরে আর সাগর নদীর ঘাটে।
ক্লান্ত আমি, আসলে "আর কতকাল ভাসবো আমি দু:খের সারি গাইয়া
জনম গেল ঘাটে ঘাটে( আমার) ভাঙা তরী বাইয়ারে আমার,
ভাঙা তরী বাইয়া।"